বিরাট নদীর কাছে যে নারী খুলেছে
আঙরাখা
নদী কি দিয়েছে তার সর্বাঙ্গ সুধা?
ছলাৎছল ঢেউ ওঠে নগ্ন বুকে
আলুলায়িত কেশ টেনে নেয় স্রোত
ঠোকর মারে বারে বারে চেলামাছ সকল প্রত্যঙ্গে
গাঙচিল লুব্ধ চোখে দেখে নেয় রুপালি যৌবন।
পাল তুলে অচেনা দূরের মাঝি
গান গেয়ে ভাটিয়ালি ভেসে যায় কোন্ ঘাটে কতদূরে?
বিরহের আঙ্ আরো জ্বলে ওঠে
কত কথা বুকে নিয়ে ওই নারী
নদীর নিকটে আসে প্রতিদিন।
গত বানে ভেসে গেছে ক্ষেতের ফসল
কর্মের সন্ধানে বন্ধু গেছে ছেনাল শহর।
ইলিশ-মৌসুম শেষ, শেষ হয় চন্দ্ররাত
তবু ক্যান্ ফেরে না সে ইছামতি বাঁকে?
কত রাত জেগে থাকবে একাকী ধবল পহরে
কত ভূত-প্রেত টোকা দেয় দরজায় গভীর নিশিথে
বিরহের রাত শেষ হয় না কিছুতে।
জলে ভাসে কত যান লঞ্চ স্টিমার, ফেরি
কত লোক যায় এসে দেখে নেয় জলমগ্ন
যৌবন জোয়ার
কেবল দেখে না তার প্রাণের দোসর।
গা ছমছম নিবিড় পাটক্ষেত গভীর জঙ্গল
পেরিয়ে প্রতিদিন সে আসে নদীর ঘাটে
যৌবন ধরে না দেহে উপচে পড়ে চারিদিকে।